সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ রহিমসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি মামলাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবি করে প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। তাছাড়া যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে মামলা থেকে অব্যহতি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম নামে মামলার আসামী মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসন ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা বিজ্ঞ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বাদী উজ্জ্বল বাদশা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, পরানপুর বাজারে বিএনপির একটি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, অফিসের আসবাবপত্র ও অর্থ লুট করা হয়েছে এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি পদদলিত করা হয়েছে। তবে জাহাঙ্গীর আলম এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, পরানপুর বাজারে বিএনপির কোনো অফিস বর্তমানে নেই, অতীতেও ছিল না। যেখানে কোনো অফিসই ছিল না, সেখানে আগুন, ভাঙচুর বা লুটপাট হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি আরও দাবি করেন, মামলায় উল্লিখিত যে গাজী শাহ আলম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তা সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে তিনি ‘রজনীগন্ধা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন এবং চেয়ারম্যান আঃ রহিমের কাছে পরাজিত হন। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, বাদী উজ্জ্বল বাদশা নিজেকে ৫নং কৈখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি দাবি করলেও স্থানীয় বিএনপি সভাপতি মোঃ আবুল খায়ের মল্লিক লিখিত প্রত্যয়নপত্রে নিশ্চিত করেছেন যে, উজ্জ্বল বাদশা নামে কোনো ব্যক্তি অতীতে বা বর্তমানে ওই পদে ছিলেন না। জাহাঙ্গীর সহ স্থানীয়দের অভিযোগ আসামিদের রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সময় মামলার অন্যান্য আসামী মতিয়ার রহমান, মাসুদ আলী, জাহাঙ্গীর আলম, গোলাম মোস্তফা, নুরুল আমীন, রুহুল কুদ্দুস, আ: জালাল, আমিনুর, সিরাজুল ইসলাম,আবু বক্কার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিএনপির উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ সহ প্রসাশন এবং সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
https://slotbet.online/