যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পরিবহন দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী শাহেদ রেজার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি পরিবহন প্রশাসক ও উপাচার্যের মৌখিক ও লিখিত নির্দেশনা উপেক্ষা করে আসছেন। অফিসে নিয়মিত না যাওয়া, পরিবহন প্রশাসকের রুম খালি না করা, হোয়াটসঅ্যাপে দেয়া নির্দেশনা অনুসরণ না করা, এবং জরুরি মেরামতের কাজ বিলম্বিত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে পরিবহন পুলের ২৬টি গাড়ির মধ্যে ১১টি রেজিস্ট্রেশনবিহীন ও ১৫টি ফিটনেসবিহীনভাবে চলাচল করছে। গাড়ি মেরামতের জন্য জমা দেয়া রিকুইজিশন ফর্মগুলো যথাসময়ে কার্যকর না হওয়ায় অনেক গাড়ি নষ্ট অবস্থায় রয়েছে। বিল-ভাউচার জমা দেয়ার নির্দেশনা বারবার উপেক্ষা করেন শাহেদ রেজা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বীমা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। একাধিকবার বদলির পরও তিনি নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি।
২০২৪ সালের ৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তাকে তিরস্কার করা হয় এবং ভবিষ্যতে গুরুদন্ড দেয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাকে ও সংশ্লিষ্ট দুই কর্মচারীকে আদায়কৃত ১০ হাজার টাকা কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়। তবে শাহেদ রেজা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক এবং তাকে শাস্তিমূলকভাবে বদলি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড আব্দুল মাজেদ জানান, ২৩ মে রিজেন্ট বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
https://slotbet.online/