অনিয়ম-দূর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ্য অর্থ হাতানো বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশানে আনসার সদস্যদের নেতৃত্ব দেওয়া পিসি সাজ্জাদের নামে বার্তা জগৎসহ একাধিক অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশের পরও বহাল তবিয়তেই চালাচ্ছে ঘুস বানিজ্য। কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে সর্বত্র। তবে কি? আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর এই আসাধু পিসি উপর মহলকে ম্যানেজ করেই চেকপোস্ট ইমিগ্রেশানটির নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের প্লাটুন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছেন। এমন প্রশ্ন এখন জনমনে। স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা যায়,ভারত গমানাগমের উদ্দেশ্যে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশানে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের সুকৌশলে লম্বা লাইনে দাড়ানো ছাড়াই পাসপোর্ট বইতে এন্ট্রি ছিল পাইয়ে দেওয়া,যাত্রী ল্যাগেস স্ক্যানিং ছাড়াই পার করা,যাত্রীদের ল্যাগেস সুবিধায় আনা অতিরিক্ত পণ্য শুল্ক পরিশোধ ছাড়াই পারাপারে ব্যবস্থা করার নামে আনসার সদস্যরা যাত্রীর পাসপোর্ট বই প্রতি হাতিয়ে নিচ্ছেন ১ শত থেকে ১ হাজার টাকা। কাজেই বাড়তি আয়ের আশায় বেনাপোলে কর্মরত আনসার সদস্যরা ইমিগ্রেশানে ডিউটি পেতে মুখিয়ে থাকে। আর এ সুযোগে পিসি সাজ্জাদ টাকার বিনিময়ে মনপছন্দের আনসার সদস্যদের দিয়ে ইমিগ্রেশানে ডিউটি করান। এ বিষয়ে গত ০৪/৫/২০২৫ ইং তারিখে অন লাইন পোর্টাল বার্তা জগৎ এ বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের আনসারদের ঘুষের টাকায় চলছে উপরের খেলা,চালকের আসনে পিসি সাজ্জাদ! শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আনসার সদস্য জানান,সংবাদ প্রকাশের পরপরই চেকপোস্ট ইমিগ্রেশান পরিদর্শনে আসেন আনসার বাহিনীর উদ্ধতণেরা। এবার উপর মহলকে ম্যানেজ করেই পুনরায় ইমিগ্রেশানের দায়িত্ব নিয়েছেন পিসি সাজ্জাদ। ইমিগ্রেশান চত্তরে আনসার সদস্যদের পাসপোর্ট যাত্রী আটকিয়ে অর্থ হাতানোর ভিডিও চিত্র স্টেশনটির সিসি টিভি ফুটেজ দেখলে বের হয়ে পড়বে বলে তিনি আরো জানান। খবরের সত্যতা যাচায়ে ইমিগ্রেশান এলাকায় ব্যাপক অনুসন্ধান নিয়ে দেখা যায় ভারত হতে পাসপোট যাত্রীরা চকলেট, বিস্কুট, কসমেটিক্স, জিরা, শাড়ী, থ্রীপিচ, মেডিকেল ইকুপমেন্ট, ঔষধ, প্রসাধনী, মদ, সিগারেট, কম্বল, কিচমিচ, ইমিটেশন জুয়েলারীসহ বিভিন্ন ধরনের অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে আসে যা শতভাগ শুল্ক পরিশোধের আওতায়। স্টেশনটিতে কর্তব্যরত কাস্টমস অফিসার ও বিজিবি সদস্যদের চেকিং কার্যক্রম ফাঁকি দিতে অর্থ বানিজ্যে আনসার সদস্যরা পাসপোর্ট যাত্রীদের অনেকক্ষেত্রে নিজ আতœীয় পরিচয় দিয়ে কুলি দিয়ে ইমেগ্রেশান হতে মাল বের করতে সহায়তা দেন। ইতিমধ্যে পিসি সাজ্জাদ তার অপকর্মের সংবাদ ধামা চাপা দিতে স্থানীয় প্রতিনিধিকে ম্যানেজ করেই পোর্টাল হতে প্রকাশিত সংবাদটি সরিয়ে নিয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত পিসি সাজ্জাদের মুঠো ফোনে যোগা যোগ করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন। পিসি সাজ্জাদের দূর্নীতিমূলক কর্মকান্ডে সরকার কেবল রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছেনা বরং স্টেশনটিতে আগত যাত্রী হয়রানি বাড়ছে বহুগুন।
https://slotbet.online/