যশোরের চৌগাছার আমজামতলার মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মাদক মামলার আসামী ইমরান সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবার জন্য মুঠোফোনই যথেষ্ঠ, পৌছিয়ে দেওয়া হয় গন্তব্যে। এই সিন্ডিকেটে ইমরান মূল ভূমিকা রাখলেও সহযোগী হিসেবে রয়েছে আরও দুই জন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চৌগাছা উপজেলার আমজামতলা বাজারে চায়ের দোকান রয়েছে ইমরানের। মাদক ব্যবসা আড়াল করতে চায়ের দোকান করেছে তিনি। কিন্তু দোকানের আড়ালে চলে রমরমা মাদকের ব্যবসা। সীমান্ত থেকে পাইকারীভাবে মাদক ক্রয় করে নিয়ে আসে তিনি নিজেই। পরে খুচরা মাদক বিক্রি করেন। ইমরানকে কল দিলে তার সহযোগীরা মাদক সরবারহ করেন মাদকসেবীদের নিকট। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুধু ইমরান না, মাদক ব্যবসার সাথে যুক্ত তার বাবা ও মা। দীর্ঘদিন যাবত তারা স¦পরিবারে মাদকের ব্যবসা করছে। একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে ইমরান ও তার বাবার বিরুদ্ধে। একাধিকবার কারাগারে গেলেও জামিনে বের হয়ে আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠে ইমরান। এছাড়াও পরিবারের একজন কারাগারে গেলে মাদক ব্যবসার হাল ধরে অন্যজন। এছাড়াও মাদক বিক্রির টাকায় আমজামতলায় গড়েছেন পাকা মার্কেট ও বাড়ি। তারা আরও জানায়, মাদক সেবনে আমজামতলায় দেখা যায় বহিরাগতদের আনাগোনা। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক মাদক সেবী ইমরানের কাছে মাদক ক্রয় করতে আসে। এছাড়াও ইমরান তার বোনের ছেলেকে দিয়েও মাদক সরবারহ করে। এই মাদক ব্যবসায়ী ইমরানকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ইমরান মাদক ব্যবসার পাশাপাশি বেশ উগ্র প্রকৃতির। কাউকে সে তোয়াক্কা করে না। মাদক ব্যবসায় কেউ বাধা দিলে মারমুখি আচারণ করে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এজন্য আমরা স্থানীয়রা তাকে এড়িয়ে চলি। এবিষয়ে দশপাঁকিয়া ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রনে আমরা সর্বদা চেষ্টা করছি। সোর্সের মাধ্যমে এসকল মাদক ব্যবসীদের খোঁজখবর নিচ্ছি। আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।
https://slotbet.online/