• মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দেবহাটায় রাইট টু গ্রো প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা ঝিকরগাছায় দিনব্যাপী কাপ কার্নিভাল অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় প্রশাসনের সাথে পরিষেবায় অভিগম্যতা বিষয়ক আলোচনা সভা সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির জরুরী সভা গত ১০ মাসেও খুলনার কোন শীর্ষ ডেভিল গ্রেফতার হয়নি আশাশুনি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ঘাতক ট্রাক কেড়ে নিল মাদ্রাসা ছাত্রের জীবন যশোরে হেরোইনের মামলায় বেনাপোলের মাদক ব্যবসায়ী বাবু ও জাহিদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড বেসিক ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা যশোরের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে মামলা

মণিরামপুরে কোটি টাকার সোলার স্ট্রিট লাইটে জ্বলে না আলো

এস এম তাজাম্মুল, মণিরামপুরঃ / ২২ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫

যশোরের মণিরামপুরে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সোলার স্ট্রিট লাইটগুলোর অধিকাংশই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। লাইটগুলো মেরামত করা ও দেখার মত কেউ নেই। বিগত স্বৈরাচার আখ্যায়িত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে গ্রামের রাস্তাগুলো পিচ, হেরিন বোন, ফিলাট সোলিং দেওয়া হয়েছে, ছোট বড় ব্রিজ নির্মাণ, প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে সোলার স্ট্রিট লাইট লাগানো হয়েছে। কিন্তু অতিব দুঃখের বিষয় হলো কাজের কাজ একটাও হয়নি, হয়েছে শুধু কাজের নামে হরিলুট। যে স্ট্রিট লাইটগুলো সন্ধ্যার সাথে সাথে অন্ধকারকে দুরে সরিয়ে ঝিকিমিকি আলো দিয়ে পথিককে সুন্দর ভাবে পথ চলতে সাহায্য করবে তা এখন অকেজো হয়ে পড়ে আছে অন্ধকারের নিমিত্তে। অনুসন্ধানে জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় বিভিন্ন স্থানে আনুমানিক ১১ থেকে ১২শ’ সোলার স্ট্রিট লাইট আছে। বর্তমান উপজেলায় ৭শ’টিরও বেশি সোলার স্ট্রিট লাইট নষ্ট হয়ে পড়ে আছে যা দেখার কেউ নেই। সরকারি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সোলার স্ট্রিট লাইটগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হয়েছে। পৌর শহরে বিভিন্ন স্থানে সোলার স্ট্রিট লাইট দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অর্থয়ানে। এপ্রকল্পের সোলার লাইটগুলো উন্নত মানের হওয়ায় কত টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ টা জানা যায়নি। আর ইউনিয়ন গুলোতে সোলার স্ট্রিট লাইট দেওয়া হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের টিআর/কাবিটা প্রকল্পের মাধ্যমে। নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক সরকারী এক কর্মকর্তা বলেন, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছর থেকে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক প্রকল্প হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কাবিটার প্রকল্পের ১ কোটি ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬০ টাকা ব্যয়ে ১৪৯ টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়। প্রতিটা লাইটে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৭৯ হাজার ৫৫০ টাকা ৬২ পয়সা। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে টিআর প্রকল্পের ১ কোটি ৫৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০০ টি সোলার স্ট্রিট লাইটে প্রতিটি লাইটে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৭৭ হাজার ১৪০ টাকা। উপজেলায় ধারাবাহিক ভাবে আনুমানিক ১১ থেকে ১২শ’ সোলার স্ট্রিট লাইট বসানো হয়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখাযায়, পৌর শহরের মণিরামপুর মহাশ্মশান রোডে ৪টি সোলার লাইটের ৩টি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। পোস্ট অফিস রোড, মোহনপুর রোড, তাহেরপুর রোড, আকরাম মোড়, ব্যাক অফিস মোড়, হাসপাতাল মোড়, ডিগ্রি কলেজ মোড়সহ একাধিক জায়গায় নষ্ট হয়ে পড়ে আছে সোলার স্ট্রিট লাইট।

এছাড়াও প্রত্যেকটি ইউনিয়নের মোড়ে মোড়ে স্থাপিত সোলার স্ট্রিট লাইট গুলোর অধিকাংশই নষ্ট হয়ে আছে। যেখানে সন্ধ্যার পর ঝিকঝিকে আলো ছিলো সেখানে অন্ধকারে পরিনত হয়ে আছে। লাইটগুলো কিছু দিন চলার পর নষ্ট হয়ে গেছে তা মেরামত করা বা দেখার মত কেউ নেই। এব্যাপারে আকরাম মোড়ের রানা বলেন, আমাদের এই মোড়ে সোলার লাইটি দেওয়ার কারণে সন্ধ্যার পর লাইটির আলোতে বসে বিভিন্ন গল্প করতাম। আর বিদ্যুৎ চলে গেলেও মোড়ে সারা রাত আলো থাকতো। যাতায়াতের সুন্দর ব্যবস্থা ছিল। বর্তমানে লাইটি নষ্ট হওয়ার পর এলাকাটি ঘুটঘুটে অন্ধকারে পরিনত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পুলের গায়ে একটি মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে সে নাম্বারে অনেক বার ফোন দিয়েছি কিন্তু ফোন রিসিভ করেনি। খানপুর ইউনিয়নে সন্ধ্যার পরে মণিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের একটি টিম অনুসন্ধানে গিয়ে নিশ্চিত করেছে ইউনিয়নের ৯০ ভাগ সোলার লাইট নষ্ট। উদ্ধর্তন কৃর্তপক্ষের কাছে দ্রুত ঠিক করার জন্য দাবী জানিয়েছে ইউনিয়নবাসী। এব্যাপারে যোগাযোগ করলে, সোলারের নির্দিষ্ট কম্পানির চুক্তিনামাই ৩ বছরের ফ্রী রিপিয়ারিং সেবা উল্লেখিত থাকাতে কর্তৃপক্ষ আর খোজ নেইনা বলে জানান মণিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরো সংবাদ
https://slotbet.online/