দপ্তরে অনুপস্থিত থাকা, দাপ্তরিক নথি স্বাক্ষর না করে আটকে রাখা, প্রকৌশলীদের সাথে অসদাচরণ ও বরখাস্তের হুমকি, প্রকৌশল সংক্রান্ত কাজ না বুঝে সিদ্ধান্থীনতায় ভোগা ও রেগে যাওয়া, দপ্তরের সেকশন অফিসারকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ উঠেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) প্রধান প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. এইচ এম জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ গতিশীল করার জন্য প্রকৌশল দপ্তর সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও একজন অযোগ্য, অদক্ষ, অপেশাদারী আচরনকারী এবং অনভিজ্ঞ প্রধান প্রকৌশলী (অ.দা.) প্রফেসর ড. এইচ. এম. জাকির হোসেনের কারনে তা মুখথুবড়ে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী কাজের নথি উপস্থাপন করলে তিনি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেন এবং স্বাক্ষর করতে প্রায় এক থেকে দুই সপ্তাহ কালক্ষেপন করেন। এছাড়াও কাজের নির্দেশ দিয়ে পরবর্তীতে তিনি অস্বীকার করেন। প্রধান প্রকৌশলী সবসময় দপ্তরের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সাথে অসাদাচরণ করেন ও অধিকাংশ সময়ে অফিসে অনুপস্থিত থাকেন। তিনি প্রকৌশল সংক্রান্ত কোন কাজ বুঝেন না ফলে কাজ সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে আলাপ করলে তিনি রেগে গিয়ে চরম দুর্ব্যবহার করেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মোঃ রিয়াজুল মতিনের বাচ্চা গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য প্রধান প্রকৌশলী প্রফেসর ড. এইচ. এম. জাকির হোসেন এর নিকট ছুটি চাইলে তিনি ছুটি না দিয়ে উপাচার্য মহোদয়ের নিকট থেকে ছুটি নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। তখন মোঃ রিয়াজুল মতিন তার বাচ্চা গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় উপাচার্য মহোদয়ের নিকট ছুটি চাইলে তিনি তাৎক্ষণিক ছুটি প্রদান করেন এবং বাচ্চার চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এছাড়াও এর আগে মেশিন অপারেটর সুপারভাইজার মোঃ আসফিকুর রহমানের দাদী-শ্বাশুড়ী মারা গেলে তিনি ফোন করে প্রধান
প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানান এবং জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য ছুটি প্রার্থনা করলে প্রধান প্রকৌশলী (অ.দা.) মোঃ আসফিকুর রহমানকে ছুটি না দিয়ে বরং খুলনা থেকে অফিসে আসার নির্দেশ প্রদান করেন। ফলে মোঃ আসফিকুর রহমান তার দাদী-শ্বাশুড়ীর জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
আরো জানা যায়, তিনি অফিস না করার ফলে দাপ্তরিক নথি তার স্বাক্ষরের অপেক্ষায় স্তূপ হয়ে পড়েছে। বিগত ১৬ ফেব্রুয়ারি হতে অদ্যবদি অনেক ফাইল অনুমোদনের জন্য তার অফিসে জমা আছে। ফলে প্রকৌশল দপ্তরের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ স্থবির হয়ে পড়ছে এবং চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন প্রায় দূরহ ব্যাপার হয়ে পড়েছে। প্রকৌশল দপ্তরের একমাত্র সেকশন অফিসার যিনি কম্পিউটার অপারেটরের প্রায় সকল কাজ সম্পন্ন করে থাকেন, তাকেও প্রধান প্রকৌশলী তার অফিসিয়াল নথি সংরক্ষণ কাজের জন্য নিয়োজিত করে দাপ্তরিক কাজের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন। এ বিষয়ে দাপ্তরিক কাজ গতিশীল রাখার স্বার্থে প্রধান প্রকৌশলীকে বহুবার অনুরোধ করলেও তিনি সকলের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং সকলকে বরখাস্ত করবেন মর্মে তার মৌখিক ভাষা অনুযায়ী পাতলা কাগজের চিঠি ধরিয়ে দিবেন বলে হুমকি প্রদান করেন।
এছাড়াও প্রকৌশলীদের অপমান করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে অত্র দপ্তরের কর্মচারী এস্টিমেটর মোঃ বেলাল আল মাহফুজ এর নিকট প্রকৌশলীদের সকল কার্য যাচাই করার জন্য দাপ্তরিক দায়িত্ব প্রদান করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রকৌশলী জাকির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
https://slotbet.online/