আব্দুল্লাহ বাশার, কোটচাঁদপুরঃ কোটচাঁদপুরে প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা বই পেলেও নতুন বইয়ের স্বাদ পায়নি মাধ্যমিক আর মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা। তবে বাকি বইগুলো পেলেই তা বিদ্যালয়ে বিতরনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে,কোটচাঁদপুরে ৭৪ টি প্রাথমিক,১৫ টি কিন্ডার গার্ডেন,২৫ টি মাধ্যমিক ও ৯ টি মাদ্রাসা রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রয়েছে ১৪ হাজার ৫শ ৩৫ জন। ওই সব শিক্ষার্থীদের নতুন বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৮৩ হাজার ৬ শ ৩৫ টি।
অন্যদিকে প্রাথমিক ও কিন্ডার গার্ডেনে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৯ হাজার ২ শ ৭৪ জন। তবে ওই সব শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী কত বই প্রয়োজন তাঁর সঠিক কোন তথ্য নাই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে গত ১লা জানুয়ারী থেকে কোটচাঁদপুরে নতুন বই বিতরন শুরু করেছেন উপজেলার প্রাথমিক ও মাধমিক অফিস। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টরা প্রাথমিকের ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেনীর সব বই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরন করেছেন। আর
৪ র্থ শ্রেনীর বাংলা,ইংরেজি, গনিত,বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং ৫ ম শ্রেনীর বাংলা,ইংরেজি, গনিতের বই তুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের হাতে। তবে প্রাক- প্রাথমিকের কোন বই হাতে পায়নি বলে জানা গেছে।
আর মাধ্যমিকের ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেনীর ৩ টি এবং মাদ্রাসার ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রনীর ৩ টি করে বই বিতরন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে নতুন বইয়ের স্বাদ পায়নি ৮ম,৯ম১০ম ও প্রাক- প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাকি সালাম বলেন,১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেনীর সব বই আমরা হাতে পেয়েছি। হাতে পেয়েছি ৪ র্থ শ্রেনীর বাংলা,ইংরেজি, গনিত,বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়,আর ৫ ম শ্রেনীর বাংলা,ইংরেজি, গনিত। বই আসেনি প্রাক- প্রাথমিকের একটিও।
তিনি বলেন, আমরা যে সব বই পেয়েছি,তা সব স্কুলে বিতরন করা হয়েছে। আর বাকি বইগুলো হাতে পাবার পর বিতরন করা হবে। কবে নাগাদ বাকিগুলো পাওয়া যাবে,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,কবে পাওয়া যাবে,সেটা সঠিক করে বলা যাবে না। তবে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি।
উপজেলার একাডেমিক সুপার ভাইজার ফারুক হোসেন বলেন,এ উপজেলায় শিক্ষা কর্মকর্তা নাই। দায়িত্বে আছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। নতুন বই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,ইতোমধ্যে আমাদের হাতে এসেছে মাধ্যমিকের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেনীর তিনটি করে বই। আর মাদ্রাসার এসেছে ৭ম শ্রেনীর তিনটি বই। আমাদের কোন আন্তরিকতার কোন অভাব নাই। বই আসা মাত্রই তা বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরো বলেন,এ উপজেলার রয়েছে ২৫ টি মাধ্যমিক ও ৯ টি মাদ্রাসা। এ সব প্রতিষ্টানে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৪ হাজার ৫শ ৩৫ জন। বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৮৩ হাজার ৬ শ ৩৫ টি।
https://slotbet.online/