• সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দায়সারা কর্তৃপক্ষদের ফ্লেভার ভিত্তিক সেবায় অতিষ্ঠ মণিরামপুর বাসী মারপিটের ঘটনায় মামলা করায় হত্যার হুমকির অভিযোগ অভয়নগরে ৪ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার বাগেরহাটে মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় বাগেরহাটে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন খুলনায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতিসহ আটক ৪ গাজীপুরে চিকিৎসক দম্পতিকে অস্ত্র দেখিয়ে, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট গেট লস্ট ফর্ম হিয়ার প্রকৌশলী’র অসাদাচারন: ক্ষুব্ধ সাংবাদিক মহল চৌগাছা তরিকুল ইসলাম পৌর ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও বিদায়ী সংবর্ধনা লোহাগড়ায় হত্যাকান্ডের জেরে প্রতি পক্ষের বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

খুলনার দৌলতপুর কলেজে পদে পদে অনিয়ম

যশোর বার্তা অনলাইন ডেস্কঃ / ২৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
খুলনার দৌলতপুর কলেজে পদে পদে অনিয়ম

খুলনা অফিসঃ খুলনার দৌলতপুর কলেজের (দিবা-নৈশ) অধ্যক্ষসহ সাত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগে অনিয়মে জড়িতদের মধ্যে কলেজের অধ্যক্ষ এএসএম আনিসুর রহমানের স্ত্রীও রয়েছেন। আ.লীগ সরকারের আমলে কলেজের অনিয়ম নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাউশি ও দুদকে অভিযোগও করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।

তবে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষকের নিবন্ধন পরীক্ষার সার্টিফিকেট জাল থাকার কারণে তার বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলেজে নিয়োগের সময় আবেদন অনুযায়ী সনদ না থাকা, তৃতীয় শ্রেণির নিচে শিক্ষকতা যোগ্যতা, এক বিভাগে নিয়োগের বিপরীতে অন্য বিভাগে নিয়োগ, বাতিলযোগ্য প্রতিষ্ঠানের সনদ ব্যবহার, নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ অমান্য করে জাল নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ আছে।

জানা যায়, কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের প্রয়োজনীয় নট্রামস সনদ না থাকার পরও সাচিবিকবিদ্যা ও অফিস ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তার নিয়োগ দেওয়া হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলাও রয়েছে। অধ্যক্ষের স্ত্রী শার্মিনা ইয়াসমিন বর্তমানে কলেজের সহকারী শিক্ষক। অথচ তার নিয়োগ হয় ২০০৬ সালে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞ থাকা দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির সনদ দিয়ে। এছাড়া সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর আস্থাভাজন হিসাবে একক প্রভাব ছিল কলেজটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম সবুজের। তার এইচএসসি পরীক্ষায় কম্পার্টমেন্টাল সনদ ছিল, যা তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগের নিচের মানের সমান। তারপরও প্রভাব খাটিয়ে তার নিয়োগ হয়। আওয়ামী লীগের আমলে কলেজটিতে নিয়মিত না এসে বেতন নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এদিকে পত্রিকায় ফাইন্যান্স বিষয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হিসাববিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রিধারী মো. আবুল কালাম আজাদ বুলুকে ফাইন্যান্সের প্রভাষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসাবে কর্মরত। শতকরা ৩০ ভাগ নারী কোটা পূরণ না করেই মো. আরিফুজ্জামান মাহামুদকে অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে চেক ডিজওনার মামলা থাকায় দীর্ঘদিন পলাতক থেকে বেতন নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক পদে মিলন চন্দ্র মন্ডলকে নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ এই নিয়োগের সময় প্রথম স্থান হওয়া প্রার্থী ফারজানা হক দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করলে আদালত নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে নিয়োগ দেওয়া হয়। হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোছা. আল সানিয়ার নিবন্ধন পরীক্ষার সনদ জাল থাকার কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেয়নি।

কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান, অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান এবং মো. জাহাঙ্গীর আলম সবুজের প্রভাবে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। সাবেক সংসদ-সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান কলেজটির সভাপতি থাকাকালীন সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি টিম অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। সর্বশেষ ১ অক্টোবর কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোছা. আল সানিয়ার নিবন্ধন পরীক্ষার সনদ জাল থাকার কারণে বেতন বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম সবুজ ৫ আগস্টের পর কলেজে প্রবেশ করার সময় ছাত্র-জনতার রোষানলে পড়েন। এরপর থেকে তিনি কলেজে অনুপস্থিত।

কলেজের অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান যুগান্তরকে জানান, তার নিয়োগে কোনো দুর্নীতি হয়নি। সব সার্টিফিকেট আছে। তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষক শার্মিনা ইয়াসমিনেরও সব সার্টিফিকেট রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিভাগীয় কমিশনার নির্দেশনা দিয়েছেন আল সানিয়ার বেতন বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষকের অনিয়মের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, বেশির ভাগের নিয়োগ আমার সময় হয়নি। তাছাড়া এখানকার সাবেক সংসদ-সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ানই কলেজের তৎকালীন সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। এর থেকে বেশি কিছু বলন বা। হিসাববিজ্ঞানের প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ বুলু বলেন, কোনো ভুল হলে সেটি নিয়োগ কমিটির হয়েছে। অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক আরিফুজ্জামান মাহামুদ জানান, নারী কোটা পূরণ না করে নিয়োগের বিষয়টি সঠিক নয়। তবে মামলার কারণে তিনি কলেজে আসতে পারেননি বলে স্বীকার করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরো সংবাদ
https://slotbet.online/