নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরতলীর পুলেরহাটে অবস্থিত আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ মাঠে আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য তাফসীরুল কুরআন মাহফিলকে কেন্দ্র করে জনৈক মহিলা খাদিজা খাতুনের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তার জমির ভাড়াটিয়া কিতাব আলী এবং আদ্-দ্বীন কর্তৃপক্ষ।
২৩ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে সরেজমিন অনুসন্ধান করা হয়।
বিরোধীয় জমিতে ক্যামেরায় কথা বলেন খাদিজা খাতুনের জমির ভাড়াটিয়া কিতাব আলী। তিনি বলেন, ১৫ বছর আগে ফাঁকা মাঠের মধ্যে খাদিজা খাতুনের খালি জায়গা বছরে পাঁচ হাজার টাকায় ভাড়া নেন কিতাব আলী। এই জমিতে নিজ খরচে টিনের বেড়া এবং ছাউনি দিয়ে ঘর তৈরি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন। কিন্তু আশে পাশে কোন বসতবাড়ি এবং বিদ্যুৎ লাইন না থাকায় তিনি স্বেচ্ছায় ঘর তুলে অন্যত্র সরে গেছেন। বসবাসকালে সেখানে তিনি কিছু গাছ রোপন করেছিলেন। সেগুলো নিজ জিম্মায় কেটে নিয়ে যান ইজি বাইক চালক কিতাব আলী। জমিতে এখনো তার রোপন করা নারিকেল গাছ এবং একটি খেজুর গাছ রয়েছে। জমির চারপাশে সীমানা খুটিও দিয়েছে জমির মালিক খাদিজা খাতুন বলে জানান কিতাব ও স্থানীয় বাসিন্দারা।তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মনগড়া এবং ভিত্তিহীন বলেও দাবি তার।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদ্-দ্বীন কর্তৃপক্ষ তাকে চলে যাবার ব্যাপারে কোন রকম চাপ প্রয়োগ করেনি বা তার ঘর ভেঙ্গে দেয়নি। খাদিজা খাতুনের আনীত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।
এব্যাপারে আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণ ও মেইনটেনেন্স বিভাগের সহকারি ম্যানেজার আব্দুল হান্নান মোল্লা খাদিজা খাতুনের অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, চারপাশে আদ্-দ্বীনের জমি মাঝে সাড়ে ছয় শতক জমি খাদিজা খাতুনের। এই জমিটা ভাড়া দেয়া ছিল। ভাড়াটিয়া কিতাব আলী স্বেচ্ছায় তার নির্মিত টিনের ঘর সরিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এর সাথে আমাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আমরা তার জমি দখল বা জমিতে আসা যাওয়া আটকাচ্ছি না। এই জমিতে থাকা মাটিও কিতাব আলী সরিয়ে নিয়েছেন।
তাফসির মাহফিলের জন্য আমাদের জমি পরিস্কার এবং বালু ভরাট করা হচ্ছে। তার জমি সীমানা খুটি দিয়ে আলাদা করা আছে। আমরা ঐ জমি দখলও করছি না বা কাউকে উচ্ছেদও করছি না বলে জানান আব্দুল হান্নান।
তাফসির মাহফিলের নামে জায়গা দখল বা উচ্ছেদের অভিযোগ এনে ২২ ডিসেম্বর রোববার যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে তা উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
এবিষয়ে পার্শ্ববর্তি বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন, খাদিজা খাতুন জমিতে আসলে আমি তাকে জমির সীমানা নির্ধারণে সহযোগিতা করি। এসময় আদ্-দ্বীনের কেউ তাকে বাধা প্রদান করতে আসেনি। তিনি আরও বলেন, কেউ বলতে পারবে না আদ্-দ্বীন কারো জমি জোরপূর্বক দখল করেছে।
https://slotbet.online/