নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্প্রতি যশোর জেলা পরিষদ কর্তৃক চৌগাছা প্রেসক্লাবের নামে ৪ শতক জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর বরাদ্দকৃত জমিতে প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাব এর নির্ধারিত স্থান ব্যানার লিখে ঝুলিয়ে দেন।
৯ ডিসেম্বর চৌগাছা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম হাফিজুর রহমান একটি পোষ্টারে “কোনো মীমাংসিত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত প্রেসক্লাবের নামে বরাদ্দকৃত জায়গায় কোনো ধরনের মোড়ক উন্মোচন বা ব্যানারের মাধ্যমে ফটোসেশন মেনে নেওয়া হবে না ” বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে একটি পোস্টার লাগান। এছাড়া তার নিজের ফেইসবুক পেইজে লিখেছেন “এটাই হোক চৌগাছাবাসীর স্লোগান ” এই শিরোনামে উপরে উল্লেখিত পোস্টার ছাড়েন।
যা গণমাধ্যম তথা স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য চরম হুমকি স্বরূপ। যা প্রেসক্লাব তথা গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বিব্রত করেছে।
প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ লেখা পোস্টার লাগানো বা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতে পারেন না। এধরনের বক্তব্য প্রশাসন যদি মনে করেন, তাহলে দিতে পারেন। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, প্রেসক্লাবের নামে জমির দালীলিক প্রমাণ প্রশাসনের কাছে সংরক্ষণ আছে। লিখিত অভিযোগে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন চৌগাছা পৌর বিএনপি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিচার গ্রহণে ব্যর্থ হলে সাংবাদিক সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল প্রেসক্লাব চৌগাছা’র আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শিহাব উদ্দীন স্বাক্ষরিত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বারকলিপি প্রেরণ করেন চৌগাছা পৌর বিএনপির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা বিএনপির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক/সদস্য সচিব, চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অফিসার ইনচার্জ চৌগাছা, যশোর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার একজন শীর্ষ বিএনপি নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এধরনের আদেশ একজন ব্যক্তি দিতে পারেন না। গণমাধ্যম কর্মী তথা সাংবাদিক বন্ধুগণ তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবেন। এখানে কেহ হস্তক্ষেপ করা কাম্য নয়। আমি এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
https://slotbet.online/