• মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দেবহাটায় রাইট টু গ্রো প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালা ঝিকরগাছায় দিনব্যাপী কাপ কার্নিভাল অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় প্রশাসনের সাথে পরিষেবায় অভিগম্যতা বিষয়ক আলোচনা সভা সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির জরুরী সভা গত ১০ মাসেও খুলনার কোন শীর্ষ ডেভিল গ্রেফতার হয়নি আশাশুনি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ঘাতক ট্রাক কেড়ে নিল মাদ্রাসা ছাত্রের জীবন যশোরে হেরোইনের মামলায় বেনাপোলের মাদক ব্যবসায়ী বাবু ও জাহিদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড বেসিক ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা যশোরের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে মামলা

৯ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পাইকগাছার কপিলমুনি রাজাকার মুক্ত দিবস

যশোর বার্তা অনলাইন ডেস্কঃ / ১৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
৯ ডিসেম্বর খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ঐতিহাসিক কপিলমুনি রাজাকার মুক্ত দিবস।

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

 

আজ ৯ ডিসেম্বর খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ঐতিহাসিক কপিলমুনি রাজাকার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে দ্বিতীয় দফার দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টার সম্মুখ যুদ্ধের পর রাজাকারদের আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে পতন ঘটেছিল দক্ষিণ খুলনার সবচেয়ে সমালোচিত ও বড় রাজাকার ঘাঁটিটির। ওই দিন উপস্থিত হাজার হাজার জনতার রায়ে আত্মসমর্পণকৃত ১৫৫ জন রাজাকারকে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। যুদ্ধকালীন জনতার রায়ে এত সংখ্যক রাজাকারদের এক সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা সম্ভবত সেটাই প্রথম ছিল।

 

তৎকালীন পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর দোসররা দেশব্যাপী সাধারণ নীরিহ মানুষের উপর অবর্ণনীয় অত্যাচার নির্যাতন চালাতে থাকে। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার মত পাইকগাছার সর্বত্র প্রতিরোধ দুর্গ গড়ে উঠে মুক্তিকামীদের সমন্বয়ে। এ সময় পাক দোসররা ব্যাপক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘাঁটি করে ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনিতে । অত্যাচারের শিকার বহু পরিবার সে সময় ভারতে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়েছিল। আধুনিক কপিলমুনির স্থপতি রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর সুরম্য বাড়িটি পাকিস্তানি দোসররা দখল নিয়ে সেখানে ঘাঁটি গেড়ে বসে। তখন এলাকায় নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণে।

 

প্রতিদিন বিকেল ৪ টা থেকে ভোর ৬ টা নাগাদ কার্ফোজারী করা হত এলাকায়। নীরিহ মানুষদের ধরে কপোতাক্ষ নদীর তীরে ফুলতলা নামক স্থানে এনে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে কেটে লবন দেয়া হত। এসব অত্যাচারের বিরুদ্ধে পাইকগাছার রাড়ূলী, বাঁকা, বোয়ালিয়া ও গড়ইখালীতে প্রতিরোধ দূর্গ হিসেবে মুক্তিফৌজের ক্যাম্প গড়ে তোলা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সকলের প্রতি হাই কমান্ডের তাগিদ পড়ে কপিলমুনি শত্রু ঘাঁটি পতনের। কারণ খুলনাঞ্চলের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে বড় ঘাঁটি। সাড়ে ৩ শ’র বেশী পাক সেনা ও তাদের দোসররা অবস্থান নিয়েছিল এখানে। সাধারণদের ভীতসন্ত্রস্থ করতে সর্বক্ষণ ঘাঁটির ছাদের উপর তাক করে রাখা হত ভারী কামান ও মেশিন গান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরো সংবাদ
https://slotbet.online/