• সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৫:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
দায়সারা কর্তৃপক্ষদের ফ্লেভার ভিত্তিক সেবায় অতিষ্ঠ মণিরামপুর বাসী মারপিটের ঘটনায় মামলা করায় হত্যার হুমকির অভিযোগ অভয়নগরে ৪ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার বাগেরহাটে মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় বাগেরহাটে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন খুলনায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতিসহ আটক ৪ গাজীপুরে চিকিৎসক দম্পতিকে অস্ত্র দেখিয়ে, টাকা-স্বর্ণালংকার লুট গেট লস্ট ফর্ম হিয়ার প্রকৌশলী’র অসাদাচারন: ক্ষুব্ধ সাংবাদিক মহল চৌগাছা তরিকুল ইসলাম পৌর ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ ও বিদায়ী সংবর্ধনা লোহাগড়ায় হত্যাকান্ডের জেরে প্রতি পক্ষের বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

১৫ বছর জামায়াত ইসলামীকে ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম নির্য়াতন করা হয়েছেঃ গাজীপুরে আমীরে  জামায়াত

যশোর বার্তা অনলাইন ডেস্কঃ / ২৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪

মোখলেছুর রহমান জয়, গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরে গতকাল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা.শফিকুর রহমান বলেছেন, গত ১৫ বছর জামায়াত ইসলামীকে ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম নির্য়াতন করা হয়েছে , যারা এই সমাজের দুশমন তারাই শিল্প ধ্বংস করতে চায়। তারা শ্রমিকদের আবেগকে উসকে দিয়ে রাস্তায় নামায়। তারা বলে শ্রমিকরা ঘরে বসে বেনিফিট পাবে। কিছু কিছু মালিক আছেন তারা চায় শ্রমিকদের ঘাম নয়, পারলে তাদের রক্ত চুষে নিতে চায়, এটা অন্যায়। শিল্প যারা বাঁচাবে তাদেরকে বাঁচতে দিন। আপনি তাদেরকে সম্মান করবেন, তারা সমস্ত শক্তি উজাড় করে আপনাকে সব কিছু বিলিয়ে যাবে। শিল্পের উন্নতি হবে, তাদেরও উন্নতি হবে। আমরা ঐরকম বৈষম্যহীন একটা সমাজ চাই। আমরা এমন একটা সমাজ চাই, যেই সমাজে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশুর চারটি অধিকার (খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্য এবং সুশিক্ষা) সরকার তাকে দিতে বাধ্য থাকবে।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে শহরের রাজবাড়ী মাঠে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারী পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে মতলববাজরা মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধিয়ে রাখে। উদ্যেক্তা এবং মালিক যদি না থাকে শ্রমিকেরা কোথায় কাজ করবে। শিল্প যদি না বাঁচে কর্মসংস্থান কোথায় হবে। আমরা চাই ব্যবসায়ীরা তার জায়গায় বসে ব্যবসা করুক, কোন দুর্বৃত্তের সাহস হবে না তার কাছে চাঁদা চাওয়ার। বাজারে স্বস্তি থাকবে, সহনীয় দ্রব্যমূল্য থাকবে, যাতে প্রতিটি মানুষ তার সামর্থ অনুযায়ী স্বস্তির সাথে বসবাস করতে পারে। সামজিক নিরাপত্তা এমন হবে, সে ঘরের মধ্যে দরজা খোলা বা বন্ধ হোক রাতের বেলা শান্তিতে ঘুমাবে, কোন দুর্বৃত্ত তার সম্পদ বা ইজ্জত লুটে নেওয়ার সাহস করবে না। আমরা এমন একটা সমাজ চাই।

তিনি বলেন, এই দেশ দফায় দফায় রক্তের বিনিময়ে বারবার মুক্তির জন্য আহাজারি করেছে ৪৭, ৭১ আবার ২০২৪ সালে। কোনো জাতি তাদের নিজেদের মুখ্য স্বাধীন অধিকারের জন্য এত রক্ত দিয়েছে কি’না আমি জানি না। সমানতালে যুদ্ধ করেছে নারী পুরুষ এবং শিশুরাও।

তিনি আরও বলেন, গত, আগত এবং অনাগত দেখে যেন আমাদের শিক্ষা হয়। যারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় জনগনের অর্থে কিনা অস্ত্র এবং বুলেট জনগনের বুকে ধরার দু:সাহস করবে এমন কেনো সন্ত্রাসী আর দেখতে চাই না। পুরো বাংলাদেশকে এক করতে হবে। ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতকে এক করতে হবে। বিশ্বকে জানান দিতে হবে দেশ এবং জাতির স্বার্থে আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। যত বিভাজন রেখা তৈরি করা হয়েছিল সবগুলোকে আমরা পায়ের নিচে ফেলে দিয়েছি। আর আমরা কাউকে এই জাতিকে বিভক্ত করার সুযোগ করে দিব না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাড়ে ১৫ বছর জামায়াতে ইসলামীকে ইতিহাসের বর্বরতম নির্যাতন করা হয়েছে। ১১ জন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। জুলুম করে বিচারিক হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। সর্বশেষ দু:খজনক ঘটনার শিকার হয়েছেন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, আমরা দেখতে চাই এই জগতে সেই হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। হত্যার পরিকল্পনাকারী, মাস্টারমাইন্ড, হত্যা বাস্তবায়নকারী, আদালতে বসে যারা দুষ্ট রায় দিয়েছেন, মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছেন, তদন্ত করতে গিয়ে যারা নাটক সাজিয়েছেন এদের কেউ যেন সেই অপরাধ থেকে রেহাই না পায়। তারা গোটা জাতিকে হত্যা করতে চেয়েছিল। সেনাবাহিনীর ৫৭ জন চৌকস দেশ প্রেমিক অফিসারদেরকে ক্ষমতায় আসার মাত্র দুই মাসের মাথায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিডিআর বাহিনীকে ধ্বংস করা হয়েছে। নিরীহ মানুষ যারা জেলে বন্দি আছে তাদের সবার মুক্তি চাই। আমরা বলেছিলাম প্রতিশোধ নিব না, আইন হাতে তুলে নিব না। আমাদের সহকর্মীরা চরম ধৈর্য ধারণ করেছে। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে আলেম ওলামাদের সাথে কি আচরণটা করা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে চতুর্দিকে আলো নিভিয়ে তারা ব্রাশ ফায়ার করে কতজনকে যে হত্যা করেছে আল্লাহ ভালো জানে। তাদের লাশটিও পাওয়া যায়নি। দুষ্ট সরকারের ব্রশ কয়েক মন্ত্রী ২৪ এর পতনের মাত্র চারিদন আগে বললো বাড়াবাড়ি করবেন না, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর ভুলে যাবেন না। রাত ১২ টার পর আমরা সব কয়টাকে সাফ করে দিয়েছি।

দলীয় নির্যাতনের বিষয়ে জামায়েত আমীর বলেন, আমরা বলেছিলাম কারো প্রতি অবিচার করবো না, কোনো প্রতিশোধ নেবো না। সেটা আমরা করিনি। আমাদের উপর গত ১৫ বছর যে অত্যাচার হয়েছে তা ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম নির্যাতন। তারপরেও আমাদের নেতাকর্মীরা ৫ আগস্টের পর কোথাও কারও ব্যবসা বা বাড়িতে হামলা করেনি।

গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক অধ্যাপক মুহা. জামাল উদদীনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ। বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান, ঢাকা উত্তর অঞ্চল টিমের সদস্য আবুল হাসেম খান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন, গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমীর ড. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মুহাৃম্মদ খায়রুল হাসান, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাউদ্দিন আইউবী প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরো সংবাদ
https://slotbet.online/