কে এম ইদ্রিস ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরকারি বহুমুখী মডেল হাইস্কুলের ঐতিহ্য ও শৃংঙ্খলা ফেরাতে এবং নিয়মিত পাঠদানের দাবিতে অভিভাবকদের পক্ষে একটি আবেদন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার(১৯ সেপ্টেম্বর ) অভিভাবকদের স্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর দেওয়া হয়েছে।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কিছু অনিয়মের অভিযোগে তুলে তার পদত্যাগ দাবি করে। যা শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্নদপ্তরে প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। সে সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে কয়েকদিন ক্লাস বন্ধ ছিল। ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে বিদ্যালয়ের মূলফটকে তালাবন্ধ থাকায় কয়েকজন কর্মচারী ও কয়েক শ শিক্ষার্থী গেটের সামনে রাস্তায় দাড়িয়ে ছিল। বিষয়টি জানতে চাইলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রধান শিক্ষককে স্কুল ঢুকতে না দেয়ার জন্য তারা কয়েকজন বড় ভাইয়ের নির্দেশে তালা মেরে রেখেছে। বিষয়টি আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলছে। তাছাড়া চলতি বছর তীব্র তাপদাহের ছুটি ও অতিবৃষ্টির কারণে কাঙ্ক্ষিত ক্লাস হয়নি। এভাবে একের পর এক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের অপুরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সোনিয়া আক্তার মাধুরি নামে এক অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষক যদি কোন অনিয়ম করে থাকে তাহলে তার বিচার চাই। তারমানে এই নয় যে, বিদ্যালয়ে অচল অবস্থা সৃষ্টি করে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতি করতে হবে। অপর অভিভাবক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত চলছে। এটাকে এখন পুঁজি করে গোটা কয়েক জনের কারণে বিদ্যালয়ের শ্রেণিতে পাঠদান বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হতে দেয়া যাবে না। এসব বন্ধ না হলে আমার সন্তান অন্যত্র নিয়ে যাব।
আয়েশা রহমান নামে এক অভিভাবক অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষককে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাজ নয়। তাছাড়া ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ না করার ব্যাপারে পরিপত্র জারি করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভুপালি সরকার বলেন, কারো কোনো ত্রুটি থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এনিয়ে শিক্ষার্থী বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয় এমন কাজ হতে দেওয়া হবে না।
https://slotbet.online/