যশোরের চৌগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় আফিয়া ইসলাম মৃধা (২৩) নামে এক কলেজ ছাত্রী নিহত। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর পিতা আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ৯ টার কপোতাক্ষ নদ ব্রীজ সব সংলগ্ন  এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এ ঘটনা ঘটে। নিতহ আফিয়া ইসলাম মৃধা চৌগাছা মৃধাপাড়া মহিলা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ও পৌর শহরের কংশারীপুর গ্রামের মহিদুল মৃধার মেয়ে। চৌগাছা মৃধাপাড়া মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিচুর রহমান জানান, ঘটনার দিন সকালে আফিয়ার পিতা মহিদুল ইসলাম মোটরসাইকেলে মেয়ে আফিয়া আক্তারকে  নিয়ে উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের অধীনে কম্পিউটার ট্রেনিং এর জন্য যাচ্ছিল। তারা কপোতাক্ষ ব্রীজ এলাকায় পৌঁছালে পুড়াপাড়া থেকে ছেড়ে আসা বেপরোয়া গতিতে মাগুরা-জ-০৪০০১৬ নম্বর বাসটি তাদের সজোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় আফিয়া বাসের নিচে পড়ে গেলে বাসের টায়ার তার  মাথার উপরে উঠে যায়। এতে তারা দুই জন মারাত্মক আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চৌগাছা  হাসপাতালে নিয়ে যায়। সকাল ১০ টার হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ফারুক আজম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে  তিনি বলেন মাথা থেতলে হয়ে প্রচুর পরিমাণ রক্তক্ষরণ হয়েছে।
আফিয়া ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পিতা মহিদুল ইসলামকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
স্থানীয়রা জানান, নিহত আফিয়া ইসলাম চৌগাছা মৃধাপাড়া মহিলা কলেজে হিসাব বিজ্ঞানের ৩য় বর্ষের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। পিতার ৬ টি মেয়ের মধ্যে আফিয়া ৫ম কন্যা।  এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ দুর্ঘটনায় জড়িত বাসটি আটক করেছেন। বাসটির মালিক সদর উপজেলার আরিচপুর-চান্দুটিয়া গ্রামের সামাউল ইসলামের ছেলে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। বাসের ড্রাইভার পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, বাসটি থানায় আটক করা আছে। চালককে আটকের জন্য অভিযান চলছে। পরিবার থেকে লাশটি  ময়নাতদন্ত করবে না বলে জানালে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবার থেকে  বাস ও চালকের বিরুদ্ধে  মামলা  প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিক্ষার্থী আফিয়ার মৃত্যুতে সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।